বাউফলে তিন যুবলীগ নেতার হত্যাকারীর গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

বাউফলে তিন যুবলীগ নেতার হত্যাকারীর গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

মোঃ দেলোয়ার হোসেন: পটুয়াখালীর বাউফলে কালাইয়া ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা তাপস দাস,কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জোড়া খুন রাকিব উদ্দিন রুমন তালুকদার ও ইশাদ তালুকদারের হত্যার সাথে জড়িত খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বাউফল উপজেলা যুবলীগ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাউফল প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত ওই মানবন্ধন কর্মসূচীতে যুবলীগের কয়েকশত নেতাকর্মী ও নিহতদের পরিবারের লোকজন অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,বাউফল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাহজাহান সিরাজ, সাধারন সম্পাদক ও কালাইয়া ইউপির চেয়ারম্যান ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হারুন অর-রশিদ,যুবলীগ নেতা রুমনের বড় ভাই কেশবপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকু,কেশবপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।উল্লেখ্য,গত ২আগষ্ট সন্ধ্যায় আ’মীলীগের দুই গ্রœপের দ্ব›েদ্বরে জেড় ধরে কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ:সভাপতি রুমন তালুকদার ও ইশাদ তালুকদার দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং রুমন তালুকদারের বড় ভাই মফিজ ফিজউদ্দিন মিন্টু তালুকদার বাদি হয়ে ওই ইউপির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামী করে ৫৯ জনের বিরুদ্ধে  হত্যা মামলা দায়ের করেন। তাতে ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার প্রধান আসামী চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু হাইকোট থেকে জামিনে আছেন।
অপরদিকে  গত ২৪ মে থানার সামনে একটি তোরণ নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে  সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ সমর্থিত ও জেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক ও পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের কর্মী ও সমর্থক এ দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় তাতে আ স ম ফিরোজ এমপি সমর্থিত কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা তাপস দাস ছুরির আঘাতে নিহত হন। এ ঘটনায় তাপসের বড় ভাই পঙ্কজ দাস বাদি হয়ে মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলকে প্রধান আসামী করে ৩৫জনকে আসামী করে বাউফল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রধান আসামী মেয়র জিয়াউল জুয়েল সহ ১৬জন হাউকোট থেকে জামিনে আছেন।
বক্তরা তিন যুবলীগ নেতার হত্যা কারীদের সাথে জড়িত সকল আসামীদেরকে  গ্রেফতার করে সঠিক ভাবে তদন্ত করে উপযুক্ত বিচারের দাবী করেন।